ঢাকার কেরানীগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে ফাঁকা গুলির ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী এলাকায় প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি রেজাউল কবির (পল)। রেজাউল কবির ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলের পক্ষ থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মিছিলটি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমর্থকেরা করেছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা। সেলিম মোল্লা বলেন, ‘আগামীকাল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে আমরা মিছিল নিয়ে পশ্চিমদী এলাকায় প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিলটি অতিক্রমকালে বাড়ির ভেতর থেকে কে বা কারা একটি গুলি ছোড়ে। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেলা দুইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লুৎফর মোল্লার বাড়ির প্রায় ১৫ থেকে ২০ গজ দূরের ঝোপ থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করে।’
এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুলির একটি খোসা উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার জন্য রেজাউল কবিরের সমর্থক রিফাত মোল্লাকে দায়ী করছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রিফাত বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে। বরং মিছিল থেকে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।’
আর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি রেজাউল কবির বলেন, ‘শুনেছি কে বা কারা পশ্চিমদী এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর মোল্লার বাড়ির সামনে গুলি ছুড়েছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা উচিত।’

